পরম করুণাময় আল্লাহর অশেষ করুণায় প্রকাশিত হলো মহাবিশ্বের সীমানা বইটি। এটি আমার প্রথম মৌলিক বই। গত (২০১৭) বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছিল অনূদিত বই অ্যা ব্রিফার হিস্ট্রি অব টাইম। লেখক স্টিফেন হকিং ও লিওনার্দ ম্লোডিনো।
শৈশবে ভাবতাম, পৃথিবী না জানি কত বড়? কোথায় এর শেষ? যেখানে শেষ তার পরে কী আছে? মানুষ কি পৃথিবীর বাইরে যেতে পারে? একটু বড় হয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলাম। বরং প্রশ্নগুলোকেই লেগেছে হাস্যকর।
কিন্তু প্রশ্নগুলোতে যদি পৃথিবী শব্দটি কেটে ‘মহাবিশ্ব’ বসিয়ে দেই, তাহলে আর হাস্যকর থাকে না। মহাবিশ্বের যেখানে শেষ আসলেই তার পরে কী আছে? প্রশ্নটির উত্তর পৃথিবীর প্রশ্নের মতো অত সোজা নয়। সেটাই আলোচিত হয়েছে মহাবিশ্বের সীমানা বইয়ের শুরুর অংশে। বাকি অংশে রয়েছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রাসঙ্গিক কিছু লেখার সংকলন।
বইটির অধিকাংশ লেখাই ইতোপূর্বে বিজ্ঞানচিন্তা, ব্যাপন ও জিরো টু ইনফিনিটিসহ বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লেখা ছিল আবার আমার মহাকাশ চর্চার ওয়েবসাইট বিশ^ ডট কমের মহাবিশ্ব বিভাগে।
বিজ্ঞান বিষয়ে লিখতে গিয়ে মাঝে মাঝে নিজের কাছে প্রশ্ন করি, নিজে বিজ্ঞানী না হয়ে কি বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখি করা উচিৎ? প্রশ্নটা আসার কারণ হলো, এ কাজ করতে গিয়ে হয়ত অনেক সময় লেখকরা (আমিও) বিজ্ঞানের মূল ধারণাগুলো থেকে সরে আসেন। তবুও লেখার সপক্ষে আমার যক্তি হলো, জ্ঞানের চর্চার স্বার্থে লেখালেখি হওয়া উচিৎ। উপরন্ত বিজ্ঞানীরা সব সময় বিজ্ঞানকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার সময় পান না। অথচ বিজ্ঞানের ধারণাগুলো সাধারণ মানুষেরও জানা প্রয়োজন। নতুন নতুন তত্ত্ব ও ধারণার সাথে পরিচিত থাকা প্রয়োজন।
বিজ্ঞানের সঠিক জ্ঞানের অভাবেই আজকের আধুনিক পৃথিবীতেও ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি নামে সংগঠনের অস্তিত্ব আছে। এমনকি তারা ২০১৭ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় একটি বড় সম্মেলনও করেছে। বিজ্ঞানের অগগ্রতির জন্যে এসব ধারণা ক্ষতিকর।
লেখায় ভুল এড়াতে আমি চেষ্টা করি বেশি তাত্ত্বিক বিষয়ের আলোচনা না আনতে। তাত্ত্বিক বিষয়কে সহজ করে বলার চেষ্টা করার বদলে চেয়ে বেশিরভাগ সময় চেষ্টা করি তথ্যনির্ভর লেখা লিখতে। সঠিক তথ্যসূত্র দেখে লিখলে এক্ষেত্রে ভুলের সম্ভাবনা কমে আসে। যেমন ধরুন, এ বইয়ের ‘উজ্জ্¦ল তারাদের গল্প’ লেখাটি। লেখাটি তথ্য ও নিজস্ব পর্যবেক্ষণ নির্ভর। তাত্ত্বিক আলোচনা কম।
বিজ্ঞান লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে। কিন্তু লেখালেখির সঠিক ধারাটা বুঝতে সময় লেগেছে। এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সহায়তা পেয়েছি বিজ্ঞানচিন্তার সহসম্পাদক বড় ভাই তুল্য আব্দুল গাফফার রনি ভাই ও নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার ভাই এর কাছ থেকে। এ দুজনের অবদান কখনও ভুলব না। অ্যা ব্রিফার হিস্ট্রি অব টাইম প্রকাশ করার ব্যাপারেও রনি ভাইয়ের অকৃত্রিম সহায়তা ও তত্ত্বাধান পেয়েছিলাম। এ বইটিও ভাইয়ের দেয়া উৎসাহের ফসল। বই প্রকাশের আন্তরিকতা প্রদর্শন ও উৎসাহ প্রদানের অন্বেষার প্রকাশক মো. শাহাদাৎ হোসেন ভাইকেও ধন্যবাদ। বইয়ের বিষয়বস্তু উপযোগী একটি প্রচ্ছদ করে দেওয়ার জন্যে আনোয়ার হোসেন ভাইকেও ধন্যবাদ না দিলেই নয়।
এটি আমার প্রথম মৌলিক বই। বই নিয়ে কাজ করার সময়গুলোও বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। সব মিলিয়ে বইটিতে ছোট-বড় ভুল-ত্রুটি থেকে যাওয়া অসম্ভব নয়। বিজ্ঞ পাঠকের চোখে এমন কোনো ভুল চোখে পড়লে ইমেইলে বা ফেসবুকে জানানোর অনুরোধ করছি।
আব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদ
মতিঝিল, ঢাকা
শৈশবে ভাবতাম, পৃথিবী না জানি কত বড়? কোথায় এর শেষ? যেখানে শেষ তার পরে কী আছে? মানুষ কি পৃথিবীর বাইরে যেতে পারে? একটু বড় হয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলাম। বরং প্রশ্নগুলোকেই লেগেছে হাস্যকর।
কিন্তু প্রশ্নগুলোতে যদি পৃথিবী শব্দটি কেটে ‘মহাবিশ্ব’ বসিয়ে দেই, তাহলে আর হাস্যকর থাকে না। মহাবিশ্বের যেখানে শেষ আসলেই তার পরে কী আছে? প্রশ্নটির উত্তর পৃথিবীর প্রশ্নের মতো অত সোজা নয়। সেটাই আলোচিত হয়েছে মহাবিশ্বের সীমানা বইয়ের শুরুর অংশে। বাকি অংশে রয়েছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রাসঙ্গিক কিছু লেখার সংকলন।
বইটির অধিকাংশ লেখাই ইতোপূর্বে বিজ্ঞানচিন্তা, ব্যাপন ও জিরো টু ইনফিনিটিসহ বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লেখা ছিল আবার আমার মহাকাশ চর্চার ওয়েবসাইট বিশ^ ডট কমের মহাবিশ্ব বিভাগে।
বিজ্ঞান বিষয়ে লিখতে গিয়ে মাঝে মাঝে নিজের কাছে প্রশ্ন করি, নিজে বিজ্ঞানী না হয়ে কি বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখি করা উচিৎ? প্রশ্নটা আসার কারণ হলো, এ কাজ করতে গিয়ে হয়ত অনেক সময় লেখকরা (আমিও) বিজ্ঞানের মূল ধারণাগুলো থেকে সরে আসেন। তবুও লেখার সপক্ষে আমার যক্তি হলো, জ্ঞানের চর্চার স্বার্থে লেখালেখি হওয়া উচিৎ। উপরন্ত বিজ্ঞানীরা সব সময় বিজ্ঞানকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার সময় পান না। অথচ বিজ্ঞানের ধারণাগুলো সাধারণ মানুষেরও জানা প্রয়োজন। নতুন নতুন তত্ত্ব ও ধারণার সাথে পরিচিত থাকা প্রয়োজন।
বিজ্ঞানের সঠিক জ্ঞানের অভাবেই আজকের আধুনিক পৃথিবীতেও ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি নামে সংগঠনের অস্তিত্ব আছে। এমনকি তারা ২০১৭ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় একটি বড় সম্মেলনও করেছে। বিজ্ঞানের অগগ্রতির জন্যে এসব ধারণা ক্ষতিকর।
লেখায় ভুল এড়াতে আমি চেষ্টা করি বেশি তাত্ত্বিক বিষয়ের আলোচনা না আনতে। তাত্ত্বিক বিষয়কে সহজ করে বলার চেষ্টা করার বদলে চেয়ে বেশিরভাগ সময় চেষ্টা করি তথ্যনির্ভর লেখা লিখতে। সঠিক তথ্যসূত্র দেখে লিখলে এক্ষেত্রে ভুলের সম্ভাবনা কমে আসে। যেমন ধরুন, এ বইয়ের ‘উজ্জ্¦ল তারাদের গল্প’ লেখাটি। লেখাটি তথ্য ও নিজস্ব পর্যবেক্ষণ নির্ভর। তাত্ত্বিক আলোচনা কম।
বিজ্ঞান লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে। কিন্তু লেখালেখির সঠিক ধারাটা বুঝতে সময় লেগেছে। এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সহায়তা পেয়েছি বিজ্ঞানচিন্তার সহসম্পাদক বড় ভাই তুল্য আব্দুল গাফফার রনি ভাই ও নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার ভাই এর কাছ থেকে। এ দুজনের অবদান কখনও ভুলব না। অ্যা ব্রিফার হিস্ট্রি অব টাইম প্রকাশ করার ব্যাপারেও রনি ভাইয়ের অকৃত্রিম সহায়তা ও তত্ত্বাধান পেয়েছিলাম। এ বইটিও ভাইয়ের দেয়া উৎসাহের ফসল। বই প্রকাশের আন্তরিকতা প্রদর্শন ও উৎসাহ প্রদানের অন্বেষার প্রকাশক মো. শাহাদাৎ হোসেন ভাইকেও ধন্যবাদ। বইয়ের বিষয়বস্তু উপযোগী একটি প্রচ্ছদ করে দেওয়ার জন্যে আনোয়ার হোসেন ভাইকেও ধন্যবাদ না দিলেই নয়।
এটি আমার প্রথম মৌলিক বই। বই নিয়ে কাজ করার সময়গুলোও বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। সব মিলিয়ে বইটিতে ছোট-বড় ভুল-ত্রুটি থেকে যাওয়া অসম্ভব নয়। বিজ্ঞ পাঠকের চোখে এমন কোনো ভুল চোখে পড়লে ইমেইলে বা ফেসবুকে জানানোর অনুরোধ করছি।
আব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদ
মতিঝিল, ঢাকা